প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর - ১ম
১ম আসর- তাঁর প্রতি ঈমান আনা
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অধিকার-১
সন্দেহ নেই, মহান আল্লাহ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করে আমাদেরকে করেছেন সম্মানিত এবং তাঁর রিসালাতের সূর্য উদিত করে আমাদের প্রতি করেছেন সীমাহীন ইহসান ।
ইরশাদ হচ্ছে,
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ
الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (8)
অবশ্যই আল্লাহ তাআলা মুমিনদের প্রতি ইহসান করেছেন। কারণ, তিনি তাদের মাঝে তাদের থেকেই একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যে তাদেরকে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে শোনায়। তাদের আত্মসংশোধন করে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতিপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহিতে ছিল।
আমাদের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক অধিকার রয়েছে, যা আদায় ও সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি। বিনষ্ট ও অবহেলা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যিক। সেসব অধিকারের কিছু নিম্নে বর্ণিত হল,
এক: তাঁর প্রতি ঈমান আনা
রাসূলুল্লাহর অধিকারসমূহের মধ্যে প্রধান ও শ্রেষ্ঠতম অধিকার হল তাঁর প্রতি ঈমান আনা ও তাঁর রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করা। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসাবে মানবে না, সে সত্যচ্ছুত-কাফির। পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলের প্রতি ঈমান এ ক্ষেত্রে তার
কোনো কল্যাণে আসবে না।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াত আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দেয় এবং তার রিসালাতে সন্দেহ-সংশয় পোষণ হতে বারণ করে।
ইরশাদ হয়েছে -
فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالنُّورِ الَّذِي أَنْزَلْنَا (سورة التغابن: )
সুতরাং তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে নূর আমি অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আনয়ন কর। {তাগাবুন:৮}
আরও ইরশাদ হচ্ছে :
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ (سورة الحجرات:
মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজদের সম্পদ ও নিজদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস-ায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। {সূরা হুজুরাত:১৫}
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করা ধ্বংস ও কঠিন শাস্তির কারণ এ বিষয়টি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইরশাদ হয়েছে -
ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ شَاقُوا اللهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يُشَاقِقِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ واد
এটি এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। {সূরা আনফাল:১৩} নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
الْأُمَّةِ، يَهُودِيُّ وَلَا نَصْرَانِيُّ ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ مِنْ هَذِهِ أَحَدُ
وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بي أ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ" [رَوَاهُ مُسْلِمُ]
যার হাতে মুহাম্মদের আত্মা তার শপথ, এ জাতির যে-ই আমার নাম শুনেছে, হোক সে খ্রিস্টান কিংবা ইহুদি, অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করেছে, আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করেই। তা হলে সে জাহান্নামবাসী হবে।
কোন মন্তব্য নেই