Breaking News

হায়েয নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর



প্রশ্ন: আমার হায়েয চলছিল। ফজরের আযানের আগে আমি পবিত্র হয়েছি।কিন্তু ক্লান্তির কারণে আমি গোসল করতে পারিনি; এর মধ্যে ফজরের আযান হয়েগেছে। এমতাবস্থায় আমি কি সেই দিনের রোযাটি পূর্ণ করব? উল্লেখ্য, আমি আযানেরআগেই সেই দিনের রোযা রাখার নিয়ত করেছি।

উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ ।

যদি হাযেযগ্রস্ত নারীফজরের আগে পবিত্র হন তাহলে তিনি রোযা রাখার নিয়ত করবেন। নিয়ত করলে তার রোযাসহিহ হবে; এমনকি তিনি যদি ফজর হওয়ার পর গোসল না করেন সেক্ষেত্রেও।

অনুরূপ হুকুম জুনুবী (সহবাস বা বীর্যপাতের কারণে যার উপর গোসল ফরয) ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যে ব্যক্তি ফজরের আগে গোসল করেনি।

সুলাইমান বিন ইয়াসার থেকে বর্ণিত তিনি উম্মে সালামা (রাঃ) কে এমনব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন যে ব্যক্তি জানাবাত (সহবাস বা বীর্যপাতেরকারণে গোসল ফরয) অবস্থায় ভোরে উপনীত হয়েছে সে কি রোযা রাখবে? তিনি বলেন:রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুনুবী অবস্থায় ভোরে উপনীতহতেন; স্বপ্নদোষের কারণে নয়। এরপর তিনি রোযা রাখতেন।[সহিহ বুখারী (১৯৬২) ওসহিহ মুসলিম (১১০৯)]

ইমাম নববী বলেন:

শহর-বন্দরের আলেমগণ ইজমা করেছেন যে, জুনুবী ব্যক্তির রোযা রাখা সহিহ; হোক সেটা স্বপ্নদোষের কারণ থেকে কিংবা স্ত্রী সহবাসের কারণ থেকে... । জুনুবীব্যক্তির ন্যায় যদি কোন হায়েযগ্রস্ত নারী কিংবা নিফাসগ্রস্ত নারীররক্তস্রাব রাতের বেলায় বন্ধ হযে যায় অতঃপর তারা গোসল করার আগেই ফজর হয়ে যায়তাদের রোযা রাখাও সহিহ। রোযা পূর্ণ করা তাদের উপর ওয়াজিব। হোক তারা ইচ্ছাকরে গোসল না করুক কিংবা ভুলে গিয়ে গোসল না করুক; কোন ওজরের কারণে গোসল নাকরুক কিংবা কোন ওজর ছাড়া গোসল না করুক । এটি আমাদের মাযহাব ও সকল আলেমেরমাযহাব। তবে, জনৈক সালাফ থেকে যা বর্ণিত রয়েছে তাঁর থেকে সেই বর্ণনাটিসহিহ; নাকি সহিহ নয়ড় তা আমরা জানি না। [সমাপ্ত]

আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।

কোন মন্তব্য নেই